ডেস্ক রিপোর্টঃ
‘বিশ্বকাপ আসে, বিশ্বকাপ যায়; বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাউন্ডের জয়টা অধরাই রয়ে যায়’– অষ্টম বিশ্বকাপে এসে এই নিয়তিটা অবশেষে বদলেছে সাকিব আল হাসানের দল। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ৯ রানে। তাতেই গড়া হয়ে গেছে ইতিহাসটা, প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।
ধুরু ধুরু করে বুক কাঁপছিল, টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক ইতিহাস ছিল প্রতিপক্ষ। তারওপর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ছিল জয়খরা। সঙ্গে বৃষ্টির চোখ রাঙানি তো ছিলই। এতগুলো প্রতিকুল পরিস্থিতিকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে জয়ের দেখা মিললো বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩৫ রানে অলআউট হয়েছে নেদারল্যান্ডস। মূলত তাসকিন আহমেদের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের ওপর ভর করেই জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। শুরুর ওভারে সৌম্য সরকার দুই চার মেরে জানান দিয়েছিলেন ইতিবাচক ‘ইন্টেন্টের’। দুই ওভার পর নাজমুল হোসেনও হাত খুললেন, দুই ওভারে হাঁকালেন চারটি চার।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৪ রান। দলের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে কেবল রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং আফিফ হোসেন। শান্ত ২৫ এবং আফিফ করেছেন ৩৮ রান।
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস কিংবা ওপেনার সৌম্য সরকার কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শুরুতে বড় রানের আভাস দিলেও সৌম্য আউট হওয়ার পরেই শুরু হয় টাইগারদের ব্যাটিং ধ্বস। মিডল অর্ডারে দ্রুত ফিরেছেন ইয়াসির রাব্বি।
নুরুল হাসান সোহান থিতু হওয়ার পরও করেছেন ১৩ রান। তবে শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের চেষ্টায় সম্মানজনক স্কোর দাঁড়ায় করায় টাইগাররা। ১২ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ২০ রান। তাতেই সম্মানজনক এক পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, নিউজ টিপিবি এর দায়ভার নেবে না।